এস. এম. তারেক, “আন্দোলনে যারা পরাজিত নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারেনা। বার বার দরকার শেখ হাসিনার সরকার, আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আ’লীকে ক্ষমতায় আনতে হবে। গতকাল ৪ নভেম্বর (শনিবার) বিকেলে ঈদগাঁও বাস ষ্টেশন চত্বরে কক্সবাজার সদর উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নিজেরা বাস পুড়িয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেয়েছিেেলন তা আজ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সত্যকে চাপা দিয়ে কোন লাভ নেই। তাছাড়া মরা গাঙ্গে কখনও জোয়ার আসেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মায়ানমারের নেত্রী অং সাং সূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে এর কোন বিকল্প নেই । এ ব্যাপারে জাতিসংঘের মাধ্যমে মায়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে বিশ্বশক্তিকে মায়ানমারের উপর অবরোধ আরোপ করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ১০ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বাংলাদেশ দীর্ঘদিন বহন করতে পারবেনা। এছাড়া তিনি সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন এবং আ’লীগ সরকারের আমলে কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে বলে জানান।” কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রনেতা আবু তালেবের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল করিম মাদুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আ’লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় কমিটির কমিটির সাংগঠণিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, সাংসদ আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবঃ লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী বদিউল আলম। বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সোহেল জাহান চৌধুরী, জেলা যুব মহিলালীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ এবং জেলা যুব মহিলালীগ নেত্রী তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, সদর উপজেলা ম্বেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি এডঃ একরামুল হুদা, কক্সবাজার সদর উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি আবদুল হক জিকু, সহ-সভাপতি হুমায়ুন তাহের চৌধুরী হিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান আজাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ফিরোজ উদ্দিন খোকা, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইরফানুল করিম, খুরুস্কুলের ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ঝিলংজা ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক কুদরত উল্লাহ সিকদার এমইউপি, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এমইউপি, জাতীয় শ্রমিকলীগ ঈদগাঁও সাংগঠণিক উপজেলা শাখার আহবায়ক আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা, সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ওসমান সরওয়ার ডিপো, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল উদ্দিন, নাছির উদ্দিন জয়, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নওশাদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ উদ্দিন রাশেল, সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিশাদ, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এনাম রনি এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম এমইউপি। উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আ’লীগ সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমসহ মন্ত্রীর সফরসঙ্গীবৃন্দ। বিকেল ৩ টা থেকে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ইউনিট হতে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে বাদ্যবাজনা বাজিয়ে গগনবিদারী শ্লোগান দিতে দিতে অনুষ্ঠানস্থলে এসে হাজির হয় নেতাকর্মীরা। এসময় মঞ্চে উপবিষ্টরা ও সাধারণ জনগণ হাততালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানায়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর রাত প্রায় ৯টা ৪০ মিনিটের মাথায় সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছেন। এর আগে জনসভা সফল করতে ঈদগাঁও’র আনাচেকানাচে ব্যাপক মাইকিংসহ ঈদগাঁও’র গুরুত্বপূর্ণস্থানসমুহে নির্মাণ করা হয় সুদৃশ্য তোরণ। ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে যায় পুরো জনপদ। স্বাধীনতা পরবর্তী ঈদগাঁওতে এটি ছিল আ’লীগের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। প্রচুর জনসমাগমের কারণে বাজার ও মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।